নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঘুষ গ্রহণের বিনিময়ে ভুয়া কাগজপত্রাদি দিয়ে ঋণ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে সোনালী ব্যাংক দেওয়ানগঞ্জ বাজার শাখার সিনিয়র অফিসার ( আইটি) মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে।
দেওয়ানগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের একাধিক ব্যাংক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, চলতি মাসের ৫ তারিখ জাকির হোসেন উপজেলার সানন্দবাড়ি বাজার শাখা হতে বদলি হয়ে দেওয়ানগঞ্জ বাজার শাখায় এসেছেন। বদলির কারণ ঋণ বিতরণে অনিয়ম। জাকির হোসেন দেওয়ানগঞ্জ ব্রাঞ্চে এসেও ঋণ বিতরনের অনিয়মে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চলতি মাসের ১৫ তারিখ বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের শহিদুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে ৬৮ হাজার টাকা কৃষি ঋণ প্রদান করে । যা শাখা ব্যবস্থাপক কে না জানিয়েই ব্যাংকিং সফটওয়্যারে টাকা ডেবিট ক্রেডিট করে ক্যাশিয়ার এর নিকট চেক ও ভাউচার জমা করে ঋণের টাকা প্রদান করে। এবং ঋণের বিপরীতে গৃহীত কাগজপত্রাদি ওয়ারিশ সনদ, জমির পর্চা, বর্গা চাষীর চুক্তিনামা সবই ভুয়া । নকল কাগজপত্রের বিষয়টি বাহাদুরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছে । আরো বলেন, কৃষি বন্ডে ঋণ গ্রহিতাকে সৈয়দ আলী নামের এক ব্যক্তির বর্গা চাষী দেখানো হয়েছে। বাস্তবে ঋণগ্রহীতা কোনো বর্গাচাষী এবং প্রকৃত কৃষক নন।
ঋণ গ্রহীতা শহিদুর রহমান বলেন, ঋণ নিতে ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির হোসেন কে সাত হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে ।
মো. জাকির হোসেন ঋণদানের বিষয়টি স্বীকার করেন এবং ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
শাখা ব্যবস্থাপক খন্দকার মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, সে (জাকির হোসেন) যে ঋণটি দিয়েছে তা রিকোভারি ঋণ। সাবেক ব্রাঞ্চে কিছু অনিয়ম করেছে সে তথ্যমতে বর্তমান ব্রাঞ্চে তাকে এমন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে সে কোন অনিয়ম করার সুযোগ না পায়।